মাবিয়া রহমান,স্টাফ রিপোটারঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নড়েচড়ে বসেছেন সম্ভব্য প্রার্থীরা।আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান অনেকেই।তারই ধারাবাহিকতায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মনিরামপুরের ১৩ নং খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের প্রত্যাশিত পাঁচজন প্রার্থী।
তবে শক্তিশালী অবস্থানে আছেন দুজন(গাজী মোহাম্মাদ ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজ)।
১.গাজী মোহাম্মদ আলী,,বর্তমান চেয়ারম্যান ও সভাপতি ১৩ নং খানপুর আওয়ামীলীগ।তিনি তিন বারের আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন।সে দিক দিয়ে জনমনে খানিকটা এগিয়ে আছেন গাজী মোহাম্মাদ আলী।তবে অনেকেই ধারণা করছে,,,সাবেক প্রয়াত এমপি এডভোকেট খান টিপু সুলতানের আস্তাভাজন ব্যক্তি ছিলেন গাজী মোহাম্মাদ।হয়তো এ কারনে তার সরকার দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেক কাটখড়ি পোড়াতে হবে।তবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে গাজী মোহাম্মাদ সবার শীর্ষে বলে দাবি করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা।
২.সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,,সবেক চেয়ারম্যান ১৩নং খানপুর ইউনিয়ন পরিষদ।স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করে টানা নয় বছর চেয়ারম্যানি করেছেন।তিনি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান।সাধারন মানুষদের কাছে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।সাদা মনের মানুষ তিনি,,, ক্রিটিক্যালী রাজনীতিতে অনেকটা পিছিয়ে।
৩.গোলাম মোস্তফা খাঁন মিঠু,,যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও ১৩ নং খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।সাবেক সভাপতি কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ।খাঁমারবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির টানা পাঁচ বারের সভাপতি।আছেন তেঘরী মহিলা মাদ্রাসার সভাপতি।
৪.আবুল কালাম আজাদ মিলন,,সাধারণ সম্পাদক ১৩নং খানপুর ইউনিয়ন।আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান,, বাবার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জের ধরে হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক।
৫.মিলন কুমার ঘোষাল,,অধ্যক্ষ বাজিতপুর মহিলা কলেজ ও সদস্য ১৩ নং খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।পার্টির বিভিন্ন্য প্রগ্রামে বেশ উচ্চস্বরে বক্তব্য দিয়ে আসছেন।স্থানীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পরিবারের সাথে গভীর সম্পর্ক আছে বলে জানাযয়। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের কর্মাট ও দক্ষ প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ইউনিয়ন নির্বাচনের সময় প্রতিবারই আওয়ামীলীগের অনেক প্রার্থী মাঠে থাকে এবং এবারেও আছে। তবে যোগ্য ব্যক্তিত্ব বেঁছে নিয়ে মনোনয়ন দেওয়া ভালো হবে মনে করেন আওয়ামীলীগ ত্যাগী নেতাকর্মীরা। বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মাদ আলী বলেন,, দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে এই ইউপি হতে আমি সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি,ছিলাম দলের দুঃসময়েও।
দলের দুঃসময়ে কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি।মামলা হামলার ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বের হয়নি,আর এখন দলীয় মনোনয়ন নেওয়ার লোকের অভাব নেই। স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দল থেকে যিনি মনোনয়ন পাবেন আগামী নির্বাচনে সকলে তার হয়ে একযোগে আওয়ামীলীগের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।